Suno Suno Suno Go Sabe Songtext
von Kishore Kumar
Suno Suno Suno Go Sabe Songtext
শুনো শুনো গো সবে, শুনো দিয়া মন
বিচিত্র কাহিনী এক করি বর্ণন
এক দেশে এক বনের ধারে ছোট্ট নদীর তীরে
ছিল এক রাখাল ছেলে এক ছোট কুটিরে
আপন বলে তার কেউ ছিল না দুনিয়ায়
সারাটা দিন ধেনু চরাতো বনে
থামায় ডাকাডাকি শুনিতো পশুপাখি
যখন বাজাতো বেণু নিজেরই মনে
পশুপাখি, হরিণ-হাতি সাথী ছিল তার
সঙ্গে তাদের হেসে খেলে দিন যে যেতো তার
বুঝতো সে তাদেরই কথা, তারা বুঝতো তার
এমনি করে কয়েক বছর হয়ে গেল পার
হঠাৎ কী হলো মনে, ভাবলো রাখাল কী কারণে
মানুষের সঙ্গ বিনা আর থাকা না যায়
যা ছিল ধুলি-কড়ি, তাই নিয়ে সে দিলো পাড়ি
যাবার আগে সবার কাছে নিলো সে বিদায়
হাতি প্রথমে কেঁদে বললো, "থেকে যাও"
গরু-বাছুর-ছাগল, সবাই বললো, "সঙ্গে নাও"
এর পরে পাখিরা এলো সকলে দল বেঁধে
বললো, "মোরা গান শুনিয়ে রাখবো তোমায় বেঁধে"
কিন্তু সে রাখালের মনে কী হয়েছিল কে জানে
গেল সে ইস্টিশনে বাধা না মেনে
রেলের গাড়িতে চড়ে গেল সে দূর শহরে
সঙ্গী-সাথী পশুপাখি ফেলে পিছনে
শহরে এসে রাখালের লেগে গেল তাক
বিরাট বিরাট বাড়ি-গাড়ি, কত না হাঁকডাক
মানুষে মেশিনে সেথা চলে লেনদেন
আকাশে সেখানে উড়ে বেড়ায় aeroplane
সেই শহরের রাজমহলের এক কোণে এক আস্তাবলে
ঘোড়া দেখাশোনার ছলে পেয়ে গেল কাজ
কিন্তু সে রাখালের ছেলে, জঙ্গলেতে থাকার ফলে
মানুষে কী কথা বলে ভুলে গেছে আজ
তার ভাষাও কেউ বোঝে না, করে হাসাহাসি
মনের দুঃখে রাখাল ছেলে বাজায় বসে বাঁশি
বাঁশি শুনে সেই শহরে যত কুকুর ছিল
রাখাল ছেলের সঙ্গে তাদের ভারি দোস্তি হলো
কিন্তু বাঁশির গুণপনার ভক্ত ছিল আরেক জনা
সেই প্রাসাদের রাজার কন্যা, চম্পাবতী নাম
রাখাল ছেলের অগোচরে রোজ নিশীথে তার শিয়রে
একশো চাঁপা ফুলের গোরে দিয়ে যেতো দাম
কিছুই জানে না রাখাল, শুধু মনে ভাবে
সরস্বতীর আশীর্বাদের ফুল বুঝি বা হবে
এরপরে এক রাতে হঠাৎ ভেঙে যায় ঘুম
দেখে চম্পাবতী ছিল রে তার দাঁড়িয়ে নিঝুম
অগাধ রূপের রাশি, মুখে মধুর হাসি
বলে, "তোমার বাঁশির আমি যে দাসী
ওগো রাখাল ছেলে, কোন সে দেশে খুঁজে পেলে
এ কোন সুরের জালে বাঁধলে গো আসি"
বুঝলো না সে রাখাল ছেলে রাজকুমারীর ভাষা
রইলো চেয়ে বোকার মতন, দু′চোখ ভাসা ভাসা
রাজকুমারী ভাবলো বুঝি কোন দেশি এ চাষা
চলে গেল ধীরে ধীরে, মুখে তার হতাশা
এরপরে এক রাজার কুমার ambassador গাড়ি চড়ে তার
এলো, জিতে নিলো কন্যার কোমল হৃদয়
বললো চম্পাবতী হাসি, "ওগো রাখাল সন্ন্যাসী
এবার তুমি বাজাও বাঁশি, দাও করে বিদায়"
সেই প্রাসাদে বন্দী ছিল এক যে খাঁচার টিয়ে (টিয়া, টিয়া)
বললো, "রাখাল ছেলে, শোনো যা বলি মন দিয়ে
(ফিরে যাও, ফিরে যাও, বনে ফিরে যাও)
যাও ফিরে যাও বনে তোমার, কেউ বুঝবে না কথা তোমার
মানুষের ব্যাপার স্যাপার আলাদা রকম
এরপরে যা হবার হলো, রাখাল ছেলে চলে গেল
আমার কথাটি ফুরালো, কাহিনী খতম
বিদায় আমিও নিলাম করিয়া প্রণাম
যেন চিরসুখী হয় দম্পতি, পূরে মনস্কাম
এবার সবাই মিলে প্রাণ খুলে ভাই বলো "রাম রাম"
বিচিত্র কাহিনী এক করি বর্ণন
এক দেশে এক বনের ধারে ছোট্ট নদীর তীরে
ছিল এক রাখাল ছেলে এক ছোট কুটিরে
আপন বলে তার কেউ ছিল না দুনিয়ায়
সারাটা দিন ধেনু চরাতো বনে
থামায় ডাকাডাকি শুনিতো পশুপাখি
যখন বাজাতো বেণু নিজেরই মনে
পশুপাখি, হরিণ-হাতি সাথী ছিল তার
সঙ্গে তাদের হেসে খেলে দিন যে যেতো তার
বুঝতো সে তাদেরই কথা, তারা বুঝতো তার
এমনি করে কয়েক বছর হয়ে গেল পার
হঠাৎ কী হলো মনে, ভাবলো রাখাল কী কারণে
মানুষের সঙ্গ বিনা আর থাকা না যায়
যা ছিল ধুলি-কড়ি, তাই নিয়ে সে দিলো পাড়ি
যাবার আগে সবার কাছে নিলো সে বিদায়
হাতি প্রথমে কেঁদে বললো, "থেকে যাও"
গরু-বাছুর-ছাগল, সবাই বললো, "সঙ্গে নাও"
এর পরে পাখিরা এলো সকলে দল বেঁধে
বললো, "মোরা গান শুনিয়ে রাখবো তোমায় বেঁধে"
কিন্তু সে রাখালের মনে কী হয়েছিল কে জানে
গেল সে ইস্টিশনে বাধা না মেনে
রেলের গাড়িতে চড়ে গেল সে দূর শহরে
সঙ্গী-সাথী পশুপাখি ফেলে পিছনে
শহরে এসে রাখালের লেগে গেল তাক
বিরাট বিরাট বাড়ি-গাড়ি, কত না হাঁকডাক
মানুষে মেশিনে সেথা চলে লেনদেন
আকাশে সেখানে উড়ে বেড়ায় aeroplane
সেই শহরের রাজমহলের এক কোণে এক আস্তাবলে
ঘোড়া দেখাশোনার ছলে পেয়ে গেল কাজ
কিন্তু সে রাখালের ছেলে, জঙ্গলেতে থাকার ফলে
মানুষে কী কথা বলে ভুলে গেছে আজ
তার ভাষাও কেউ বোঝে না, করে হাসাহাসি
মনের দুঃখে রাখাল ছেলে বাজায় বসে বাঁশি
বাঁশি শুনে সেই শহরে যত কুকুর ছিল
রাখাল ছেলের সঙ্গে তাদের ভারি দোস্তি হলো
কিন্তু বাঁশির গুণপনার ভক্ত ছিল আরেক জনা
সেই প্রাসাদের রাজার কন্যা, চম্পাবতী নাম
রাখাল ছেলের অগোচরে রোজ নিশীথে তার শিয়রে
একশো চাঁপা ফুলের গোরে দিয়ে যেতো দাম
কিছুই জানে না রাখাল, শুধু মনে ভাবে
সরস্বতীর আশীর্বাদের ফুল বুঝি বা হবে
এরপরে এক রাতে হঠাৎ ভেঙে যায় ঘুম
দেখে চম্পাবতী ছিল রে তার দাঁড়িয়ে নিঝুম
অগাধ রূপের রাশি, মুখে মধুর হাসি
বলে, "তোমার বাঁশির আমি যে দাসী
ওগো রাখাল ছেলে, কোন সে দেশে খুঁজে পেলে
এ কোন সুরের জালে বাঁধলে গো আসি"
বুঝলো না সে রাখাল ছেলে রাজকুমারীর ভাষা
রইলো চেয়ে বোকার মতন, দু′চোখ ভাসা ভাসা
রাজকুমারী ভাবলো বুঝি কোন দেশি এ চাষা
চলে গেল ধীরে ধীরে, মুখে তার হতাশা
এরপরে এক রাজার কুমার ambassador গাড়ি চড়ে তার
এলো, জিতে নিলো কন্যার কোমল হৃদয়
বললো চম্পাবতী হাসি, "ওগো রাখাল সন্ন্যাসী
এবার তুমি বাজাও বাঁশি, দাও করে বিদায়"
সেই প্রাসাদে বন্দী ছিল এক যে খাঁচার টিয়ে (টিয়া, টিয়া)
বললো, "রাখাল ছেলে, শোনো যা বলি মন দিয়ে
(ফিরে যাও, ফিরে যাও, বনে ফিরে যাও)
যাও ফিরে যাও বনে তোমার, কেউ বুঝবে না কথা তোমার
মানুষের ব্যাপার স্যাপার আলাদা রকম
এরপরে যা হবার হলো, রাখাল ছেলে চলে গেল
আমার কথাটি ফুরালো, কাহিনী খতম
বিদায় আমিও নিলাম করিয়া প্রণাম
যেন চিরসুখী হয় দম্পতি, পূরে মনস্কাম
এবার সবাই মিলে প্রাণ খুলে ভাই বলো "রাম রাম"
Writer(s): Salil Chowdhury Lyrics powered by www.musixmatch.com